Shrimad Bhagavad Gita

শ্রীমদ্ভগবদগীতা মানবজাতির জন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপহার। প্রকৃতপক্ষে তার উদ্দেশ্য ছিল মানবজাতিকে জড়-জাগতিক অজ্ঞতা থেকে উদ্ধার করা। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অর্জুন যখন যুদ্ধে কৌরবপক্ষে তার আত্মীয়দের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ইতস্তত করছিলেন, তখন কৃষ্ণ জীবনের সত্য এবং কর্ম, জ্ঞান, ধ্যান এবং ভক্তির দর্শন তাঁর কাছে ব্যাখ্যা করেছিলেন, যার ফলে বিশ্বের অন্যতম বড় ধর্মগ্রন্থ, ভগবদ্গীতা প্রকাশিত হয়।

shreemad bhagawat geeta

গীতা জয়ন্তী উপলক্ষে বৈষ্ণবভক্তগণ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন। অনেক মন্দিরে গীতা যজ্ঞ করা হয়, যেখানে সম্পূর্ণ ভগবদ্গীতা পাঠ করা হয়। এছাড়া ভক্তগণ ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ইত্যাদি নির্বিশেষে প্রত্যেককে ভগবদ্গীতা বিতরণে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।

শ্রীমদ্ভগবদগীতা সম্পর্কে শত শত বিখ্যাত ব্যক্তিদের মন্তব্যগুলো দেখলে বিষ্মিত হতে হয়,

আমি শুধুমাত্র কয়েকজন বিশ্বখ্যাত ব্যক্তিদের উপলব্ধিটি, উল্লেখ করলামঃ

★……………….★…………………..★

shreemad bhagawat geeta in bengali

★জার্মান মনীষী উইলিয়ামসন হামবোল্ড বলিয়াছেন "পৃথিবীতে আর কোন ভাষায় নাই গীতার মত সুললিত সত্য এবং গভীর তাৎপর্যপূর্ণ গ্রন্থ সম্ববত আর নাই।"
★ বিখ্যাত মার্কিন মনীষী এমার্সন বলেন "গীতার মতো অপূর্ব গ্রন্থ সংষ্কৃত সাহিত্যে কেন, জগতের সাহিত্যে দুর্লভ"।
★স্বামী বিবেকানন্দ বলেন, " উপনিষদের আধ্যাত্বিক তত্ত্বের কুসুমরাজি চয়ন কটিয়া গীতারুপ এই সুদৃশ্য মাল্য গ্রথিত হইয়াছে"

★ সম্রাট শাহাজাহান পুত্র দারাশিকো'র মতে,

" গীতা স্বর্গীয় আনন্দের অফুরন্ত উৎস, সর্বোচ্চ সত্য লাভের সুগম পথটি গীতায় প্রদর্শিত"

★ ইংরেজ মনীষী ডঃ এল ডি বার্নেট বলেন, লক্ষ লক্ষ লোক গীতা পড়িয়াছেন ও শ্রবন করিয়াছেন কিন্তু সকলে বুজিতে পারেনা ঈশ্বর লাভের দূর্গম পথের সহচর গীতা"

★ গবর্ণর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিং বলেন, " "গীতা, সাহিত্য-জগতে এক অপূর্ব বিষ্ময়, গীতা পাঠে শুধু ইংরেজগন কেন, সমগ্র বিশ্ব উপকৃত হইবেন"

শ্রীমদ্ভগবদগীতা কে বলা হয়, "The song of GOD"। গীতা সম্পর্কে বলতে ৭০০ শ্লোকই প্রতিটি বাক্যই অমূল্য এবং সম্পূর্ন অনন্য।

বিভিন্ন ধর্মের ও সম্প্রদায়ের এবং ভিন্ন মানষিকতার প্রত্যেকটি মানুষই শ্রীমদ্ভগবদগীতা থেকে তার সমাধান খুজে পায়। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ পরবর্তী, পৃথিবীতে যত ভিন্ন মত ও পথের বিস্তার লাভ করেছে ধর্মের নামে তাদের স্মারকথা শ্রীমদ্ভগবদগীতারই পুনরাবৃত্তির কিয়দাংশ।
যেটি সম্পূর্ন উপলব্ধির বিষয়, যে গ্রন্থ নিয়ে বিশ্বব্যাপী, কয়েক হাজার থিসিস পেপার বিদ্যমান, যার নতুনত্ব প্রতিনিয়ত বিষ্মিত করে, সেই অমর বানীকে নিয়ে লেখা ক্ষুদ্র এই প্রয়াস যদি কাউকে গ্রন্থটি জানতে আগ্রহী করে, তাহলে নিজেকে ধন্য মনে করবো।
আমরা শুধুমাত্র, কিছু মনীষীদের দৃষ্টিভঙ্গীটা দেখানোর চেষ্টা করেছি, শ্রীমদ্ভগবদগীতার শ্রেষ্ঠত্বের কোন আলোচনা আমরা করিনি, যার প্রতিটি বাক্যই প্রতিটি মানুষকে নতুন চিন্তার জগতে প্রবেশ করাতে পারে, সেটাকে লিখে প্রকাশ করা অসম্ভব। সেটাকে আপনারা নিজেরাই উপলব্ধি করবার চেষ্টা করুন।

★ প্রত্যেকটি মানুষই স্বতন্ত্র। তাদের নিজস্ব উপলব্ধি আলাদা হতে পারে, আর প্রত্যেকের মতামতকে ( সম/ভিন্ন) শ্রদ্ধা জানানোই সনাতন ধর্মের আদর্শ ।