শ্রী গুরু বন্দনা
শ্রী গুরু বন্দনা (১)
শ্রী গুরু বন্দনা হল গুরুদের প্রণাম ও সম্মান প্রকাশের একটি প্রাচীন মন্ত্র। এটি শিষ্যরা প্রতিষ্ঠা করে গুরুর প্রতি আদর ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করতে ব্যবহৃত হয়। এই মন্ত্রটি মনে রাখে যে গুরু মার্গদর্শন করে, জ্ঞান ও দর্শন দান করে এবং শিষ্যদের বোধগম্য সত্যে পরিচিত করায়।
আপনার গুরুকে নমন ও আদর প্রকাশের জন্য এই মন্ত্রটি ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি গুরুর মুখের সামনে বা মনে করে মন্ত্রটি পাঠ করতে পারেন। এটি গুরুদের প্রতি আদর্শ প্রকাশ করতে সাহায্য করবে এবং সত্যিকারের শিষ্যত্বের মাধ্যমে আপনাকে গুরুর শিক্ষা ও দর্শন স্বীকার করার উৎসাহ দেবে।
শ্রীগুরু চরণ পদ্ম কেবল ভক্তিসদ্ম।
বন্দ মুই সাবধান মতে।।
যাহারও প্রসাদে ভাই, এই ভব তরিয়া যাই।
কৃষ্ণ প্রাপ্তি হয় যাহা হতে।।
গুরু মুখ পদ্ম বাক্য, চিত্তেতে করিয়া ঐক্য।।
আর না করিহ মনে আশা।।
শ্রী গুরু চরনে রতি, এই সে উত্তম গতি।
যে প্রসাদের পুরে সর্ব আশা।।
চক্ষুদান দিল যেই, জন্মে জন্মে প্রভু সেই।
দিব্য জ্ঞান হৃদে প্রকাশিত।।
প্রেম ভক্তি যাহা হইতে, অবিদ্যা বিনাশ যাতে।
বেদে গায় যাহার চরিত।।
শ্রী গুরু করুনা সিন্ধু অধম জনার বন্ধু।
লোকনাথ লোকেরও জীবন।।
হা হা প্রভু কর দয়া দেহ মোরে পদ ছায়া।
এবে যশ ঘুসুক ত্রিভুবন।।
বৈষ্ণব চরণ রেণু, ভূষণ করিয়া তনু,
যাহা হৈতে অনুভব হয়
মার্জন হয় ভজন, সাধু সঙ্গে অনুক্ষণ,
অজ্ঞান অবিদ্যা পরাজয়
জয় সনাতন রূপ, প্রেম ভক্তি রস কূপ
যুগল উজ্জ্বল-ময় তনু
যাহার প্রসাদে লোক, পাসরিল সব শোক,
প্রকট-কলপ-তরু জনু
প্রেম ভক্তি রীতি যত, নিজ গ্রন্থে সুবেকত
লিখিয়াছেন দুই মহাশয়
যাহার শ্রবণ হৈতে, প্রেমানন্দে ভাসে চিতে,
যুগল মধুর রসাশ্রয়
যুগল কিশোর প্রেম, লক্ষ বাণ যেন হেম
হেন ধন প্রকাশিল যারা
জয় রূপ-সনাতন, দেহো মোরে প্রেম-ধন
সে রতন মোরে গলে হারা
ভাগবত শাস্ত্র মর্ম্ম, নব বিধা ভক্তি ধর্ম্ম,
সদাই করিব সুসেবন
অন্য দেবাশ্রয় নাই, তোমারে কহিল ভাই,
এই ভক্তি পরম ভজন
সাধু শাস্ত্র গুরু বাক্য, হৃদয়ে করিযা ঐক্য,
সতত ভাসিব প্রেম মাঝে
কর্ম্মী জ্ঞানী ভক্তি হীন, ইহাকে করিব ভিন,
নরোত্তম এই তত্ত্ব গাজে
জয় প্রভুপাদ, প্রভুপাদ, প্রভুপাদ জয় প্রভুপাদ।।
জয় গুরুদেব, গুরুদেব, গুরুদেব জয় গুরুদেব।।
💐💐💐💐💐
শ্রীগুরু বন্দনা (২)
(২) ভব সাগর তারন কারন হে,
রবি নন্দন বন্দন খন্ডনহে।
শরনাগত কিঙ্কর ভীতমনে,
গুরুদেব দয়া কর দীনজনে।।
হৃদি কন্দর তামস ভাস্করহে,
তুমি বিষ্ণু প্রজাপতি শঙ্কর হে।
পর ব্রহ্ম পরাৎপর বেদভনে,
গুরুদেব দয়া কর দীন জনে।।
মন বারন শাসন অধুশহে,
নর প্রান তরে হরি চাক্ষুষ হে।
গুন গান পরায়ন দেবগনে,
গুরুদেব দয়াকর দীন জনে।।
কুল কুন্ডলিনী ঘুম ভঞ্জক হে,
হৃদিগ্রন্থি বিদারন কারক হে।
মন মানস চঞ্চল রাত্র দিনে,
গুরুদেব দয়াকর দীন জনে।।
রিপু সুদন মঙ্গঁল নায়কহে,
সুখ শান্তি বরাভয় দায়ক হে।
ত্রয় তাপ হরে তব নাম গুনে,
গুরুদেব দয়াকর দীন জনে।।
অভিমান প্রভাব বিমদ্দর্কহে,
গতিহীন জনে তুমি রক্ষক হে।
চিত্ত শঙ্কিত বঞ্চিত ভক্তিধনে,
গুরুদেব দয়া কর দীন জনে।।
তব নাম সদা শুভ সাধকহে,
পতিতা ধর্ম মানব পাবক হে।
মহিমা তব গোচর শুদ্ধমনে,
গুরুদেব দয়াকর দীন জনে।।
জয় সদ গুরু ঈশর প্রাবকহে,
ভবরোগ বিকার বিনাশক হে।
মন যেন রহে তব শ্রীচরনে,
💐💐💐💐💐
হরি হরয়ে নমঃ কৃষ্ণ যাদবায় নমঃ
হরি হরয়ে নমঃ কৃষ্ণ যাদবায় নমঃ
যাদবায় মাধবায় কেশবায় নমঃ
গোপাল গোবিন্দ রাম শ্রী-মধুসূদন
গিরিধারী গোপীনাথ মদন-মোহন
শ্রী-চৈতন্য-নিত্যানন্দ শ্রী-অদ্বৈত-সীতা
হরি গুরু বৈষ্ণব ভাগবত গীতা
শ্রী-রূপ সনাতন ভট্ট-রঘুনাথ
শ্রী-জীব গোপাল-ভট্ট দাস-রঘুনাথ
এই ছয় গোসাইর করি চরণ বন্দন
যাহা হৈতে বিঘ্ন-নাশ অভীষ্ট-পূরণ
এই ছয় গোসাই যার-মুই তার দাস
তা-সবার পদ-রেণু মোর পঞ্চ-গ্রাস
তাদের চরণ-সেবি-ভক্ত-সঙে বাস
জনমে জনমে হয় এই অভিলাষ
এই ছয় গোসাই জবে ব্রজে কৈলা বাস
রাধা-কৃষ্ণ-নিত্য-লীলা করিলা প্রকাশ
আনন্দে বল হরি ভজ বৃন্দাবন
শ্রী-গুরু-বৈষ্ণব-পদে মজাইয়া মন
শ্রী-গুরু-বৈষ্ণব-পদ-পদ্ম করি আশ
নাম-সঙ্কীর্ত্তন কহে নরোত্তম দাস
জয় গুরু
উত্তরমুছুন